আসাদুজ্জামান আপন, জবি প্রতিনিধি: জ্ঞান, শৃঙ্খলা, স্বেচ্ছাসেবী শ্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্লাটুনের মেয়াদ শেষ হওয়া ক্যাডেটদের বিদায়, নতুনদের পদোন্নতি এবং দায়িত্ব হস্তান্তরের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বিএনসিসির পদোন্নতিপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের কর্পোরাল বিএনসিসি ক্যাডেট ও প্রশিক্ষকদের ক্রেস্ট প্রদান করেন।

মোট ৩৫ জন পদোন্নতি পেয়েছে। দুইটি ক্যাটাগরির মধ্যে ক্যাডেট কর্পোরাল থেকে ক্যাডেট সার্জেন্ট পদে ৬ জন ও ক্যাডেট থেকে ল্যান্স কর্পোরাল পদে ২৯ জন পদোন্নতি পায়।

এরপর আন্তঃপ্লাটুন ড্রিল, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণী পর্ব শেষে ক্যাডেট সার্জেন্ট মোঃ রিয়াল মল্লিকের নিকট হতে ক্যাডেট ইনচার্জের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ক্যাডেট সার্জেন্ট মোঃ স্বপন মিয়া। এছাড়াও ১৯তম ব্যাচের ক্যাডেটদের ক্রেস্ট প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত ক্যাডেট ইনচার্জ মোঃ স্বপন মিয়া জানান, আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। ক্যাডেটদের সুশৃংখল ভাবে গড়ে তুলতে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বিএনসিসি ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনসিসি দেশের কাজে সব সময় পাশে থেকে আমাদের সহযোগিতা করে। এই বিএনসিসি দেশ গঠন ও দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবে এবং তাদের যে সুশৃঙ্খল প্রশিক্ষণ ও দক্ষ যে জনসমষ্টি আমরা এখান থেকে আশা করি পাব। আমি বিএনসিসি’র অগ্রগতি ও সাফল্য কামনা করি।

এছাড়া ১ বিএনসিসির ব্রাভো কোম্পানির কমান্ডার ও জবি বিএনসিসির অফিসার ইনচার্জ পিইউও আতিয়ার রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মোস্তফা কামাল, সকল পিইউও বৃন্দ সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৫ সাল থেকে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাটুন রমনা রেজিমেন্টের অধীনে রয়েছে। এতে ৬টি প্লাটুন রয়েছে, যার মধ্যে ৩টি ছেলেদের ও ৩টি মেয়েদের। প্রত্যেক প্লাটুনে ৩৩ জন করে ক্যাডেট আছে।